বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা করে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
নতুন দামের ফলে এখন থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৯২ টাকায় বিক্রি হবে। যা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে বলে মিল মালিকদের সংগঠনটি জানিয়েছে।
গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করে মিল মালিকদের সংগঠনটি। সেই প্রস্তাবে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, এক লিটারের বোতল ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬০ টাকা করার কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে আজ তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা করে বাড়ানোর কথা জানায় ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা জানান, বেশ কয়েক দিন আগেই তারা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। সেটি আজকে থেকে কার্যকরের ঘোষণা এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় আমরা দেশে আগে তো দাম কমিয়েছিলাম। এখন ডলারের দাম বেশি। ব্যাংকে আমরা পাচ্ছি না। সেজন্য দাম বাড়াতে হয়েছে। সরকারি রেটে যদি আমরা পেতাম, তাহলে বাড়াতে হতো না।
এর আগে গত ১৭ জুলাই দেশে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়। তখন খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাম তেলের দামও ছয় টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে পাম তেলের নির্ধারিত দাম ১৪৮ টাকা।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো ট্যারিফ কমিশনকে প্রস্তাব দেয়। এরপর কমিশন তা পর্যালোচনা করে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত হয় তেলের মূল্য।
মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, টি কে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডসহ দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির পর পরিশোধন করে বাজারে ছাড়ে। কেউ কেউ সয়াবিন বীজ আমদানি করে তেল উৎপাদন করে।